চুক্তিতে নকল সরবরাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক সাংবাদিককে হাঁটু ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকিদাতা অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) খাদিজা বেগম। এর আগে সোমবার ২৩ জুন খাদিজা বেগমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের এরপর থেকে পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। ২৩ জুন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলমকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এর পরিবর্তে একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক মো. রাজ্জাকুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।’

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ‘চুক্তিতে নকল সরবরাহের প্রতিযোগিতা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে’ শিরোনামে ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয় মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমের ছত্রছায়ায় আর্থিক চুক্তিতে নকল সরবরাহের প্রতিযোগিতা চলছে।
আরও পড়ুন
ওই সংবাদ প্রকাশের পরপরই ‘আমাদের সময়’ পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধি খন্দকার রাকিবুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে হাঁটু ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দেন অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলম। হুমকির কল রেকর্ড নিয়ে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে তদন্ত শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তদন্ত শুরুর পরেই ওই অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মোমিন মণ্ডল বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন অভিযোগের আলোকে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

