জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের সোহেল রানার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ীসহ নিরীহ ব্যক্তিদের নাম থাকার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী সোহাগ মণ্ডল, জয়নাল হোসেন টোটন, উত্তম অধিকারী ও পরিমল ডাক্তার জানান, মামলার বাদী সোহেল রানাকে আমরা চিনিও না। আর যে মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মহম্মদপুরে। উত্তম অধিকারী জানান, আমাকে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার নানা কারণে টাকা চেয়ে আসছিল। আমি তাকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী পরিমল ডাক্তার জানান, আমরা চারজনে শ্রীপুরে সার্জিকাল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করে। তিনি তার অযৌক্তিক দাবি না মানলে মাসুদ মজুমদার তার উল্টো ১৫ লাখ টাকা চায়। সেই টাকা না দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার বাদী সোহেল রানা গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদের কাছে ভিডিও বক্তব্য দেন। সেখানে সোহেল রানা এ মামলায় আসামিদের নাম দেননি বলে জানান, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে জেলা কমিটি মাসুদ মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
সংবাদ সমেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ারদার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিন।
প্রতিনিধি/এসএস

