মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় মানবপাচার মামলায় বিশু মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল এলাকার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী মামুন মিয়া বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ্য করে মানবপাচার আইনে মামলা করেন।
গ্রেফতার বিশু মিয়া ও মমতাজ বেগমের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘশিমুল এলাকায়।
মামলার আসামিরা হলেন, বিলকিস বেগম ও তার স্বামী রনি মিয়া,ভাই আবু সুফিয়ান, বোন রোকসানা বেগম, বাবা বিশু মিয়া ও মা মমতাজ বেগম।
এজহারপত্রে জানা যায়, চলিত বছর সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার মেঘশিমুল এলাকার বিলকিস বেগমের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরব যান প্রতিবেশী মামুন মিয়া। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর মামুন মিয়াকে কাজ না দিয়ে একটি অন্ধকার রুমে আটকে রাখেন। এরপর বিলকিসের স্বামী রনি মিয়া ও বিলকিসের ভাই আবু সুফিয়ান মামুন মিয়া অমানুষিক নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাড়ির গরু বিক্রি করে এবং ধারদেনা করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিলকিস বেগমের পরিবারকে দেয় মামুনের পরিবার। এরপর চলিত বছরের ১৩ মে সৌদি আরব দেশে ফিরে এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিলকিসের পরিবারকে জানান মামুন মিয়া।
ভুক্তভোগী মামুন মিয়া জানান,দেশে ফিরে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিলকিসের পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু বিলকিসের পরিবারের লোকজন কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং উলটো মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ায় আইনের আশ্রয় নেই। কারণ যাতে আর কেউ আমার নির্যাতন ও প্রতারণার শিকার না হয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম আমান উল্লাহ বলেন মানব প্রচার আইনে মো. মামুন নামে একজন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলা করেন। ওই মামলায় বিশু মিয়া ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছ।
প্রতিনিধি/এসএস

