টাকার অভাবে মুখগহ্বরের টিউমারজনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত মল্লিকা রায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। ৪০ বছর বয়সী এই নারী দিন দিন চরম যন্ত্রণা ও হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন। স্বামী-সন্তান থাকলেও অভাব-অনটনের সংসারে কেউই স্থায়ীভাবে উপার্জন করতে পারছেন না।
চিকিৎসার জন্য পরিবারের পৈত্রিক ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েও মল্লিকার আরোগ্যের চেষ্টা থামাননি স্বামী হরবিলাস রায়। এরপরও ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করার পর বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দিন কাটছে শুধুমাত্র মানুষের সহযোগিতায়। দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও কঠিন হয়ে পড়েছে এই পরিবারে।
বিজ্ঞাপন
মল্লিকা রায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী হরবিলাস রায় পেশায় দিনমজুর এবং তাদের রয়েছে দুটি কন্যা সন্তান।
মল্লিকা রায় বলেন, ‘আমি যন্ত্রণায় কথা বলতে পারি না। দাঁত নড়ে যায়, কিছু খেতে পারি না। আমি গরিব, অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমি বাঁচতে চাই—আপনাদের কাছে সাহায্য চাই।’
স্বামী হরবিলাস রায় বলেন, ‘আমি খুব অসহায়। মল্লিকার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন অপারেশনের জন্য অনেক টাকার দরকার। বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইছি। শেষ সম্বল একটি ঘর ছিল সেটাও বিক্রি করে দিয়েছি। আর কিছু নেই যা বিক্রি করে চিকিৎসা করাবো।’
হরবিলাস রায়ের ভাইপো শচীন রায় জানান, ‘গত দেড় বছর ধরে কাকি এই রোগে ভুগছেন। কাকা সব কিছু শেষ করে ফেলেছেন। এখন আপনাদের সাহায্য ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘মল্লিকা রায় আমাদের ওয়ার্ডের একজন অসহায় নারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার পরিবার ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছে, কিন্তু তেমন উন্নতি হয়নি। যদি সরকারি বা অন্য কোনো সাহায্য পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে মল্লিকা রায় সুস্থ হতে পারেন।’
মল্লিকা রায়ের পরিবারের আকুতি—যদি সকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো তাকে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধি/একেবি

