ঐতিহ্য ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড.এম সাখাওয়াত হোসেন।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘পদ্মা নদী বাঁচাতে ড্রেজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশে নদী বাঁচাতে যুগোপযোগী উদ্যোগ নেওয়া না হলে হুমকিতে পড়বে জীববৈচিত্র্য ও নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবন-জীবিকা।’
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডাব্লিউটিএ’র বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন ও শিমুলিয়া ঘাট নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মাস্টার প্লান বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিআইডাব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পোর্ট নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব তিনটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, নাব্যতা সংকটে পদ্মায় নিয়মিত ড্রেজিং এবং ইমের্জেন্সি ফেরি চলাচল দ্রুত সময়ে চালু করা হবে। নদী বাঁচাতে ড্রেজিং কার্যক্রম দ্রুত চালু করা আর ঘাটের ঐতিহ্য ফেরাতে ফেরি চলাচল চালু করা খুবই জরুরি। এখানে পোর্ট নির্মাণসহ যে প্রকল্পগুলো প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সবগুলোই করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে বিআইডাব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পোর্ট নির্মাণ, ইকো পার্ক, কনভেনশন হল, রিভার মিউজিয়াম, পাবলিক অ্যাকুরিয়াম, ওয়াকওয়ে,কমার্শিয়াল বিল্ডিং নির্মাণসহ ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এরপর সেমিনার চলাকালীন দুই সপ্তাহব্যাপী বেসিক ড্রেজিং অপারেশন কোর্সের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত। পরে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাস্টার মেরিন অধ্যক্ষ (অ.দা.) ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম, লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিনসহ বিআইডাব্লিটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এএইচ

