সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘ঘুমাইতে পারি না বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়’

আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ঘুমাইতে পারি না বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়’

'থাকার কষ্ট, খাবারের কষ্ট, একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, ঘুমাতে পারি না। করমু কি, করার কিছু উপায় আছে? মানুষে দিলে খাই, না দিলে না খেয়ে থাকি। বন্যা হলে অনেক ভয় করে তারপরও ভাঙা ঘরে বসে থাকি, পরের ঘরে গেলে তারা কি আমার জন্য বারবার দুয়ার (দরজা) খুলবে। তাই নিজের ঘরেই বসে থাকি। আর অসুখ বিসুখ হলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকি।' এমনটাই বলছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা  মৃত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা খাতুন।

৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিধবা হয়েছেন ৩০ বছর আগে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তারাও প্রতিবন্ধী। ছেলেদের স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালান। আর মেয়ে থাকেন তার শ্বশুর বাড়িতে।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_20250607_125437

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আমেনা খাতুনের স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র সম্বল এই ঘরে একা বাস করেন। ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেটিও ভেঙে যায়। একটু বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে এই ভাঙা ঘরে আশপাশের মানুষ যে খাবার দেয় তা দিয়ে দু’বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

আরও পড়ুন

তিন বছরের গোপালের জীবন কাটছে গর্তে

প্রতিবেশীরা জানান, আমেনা খাতুনের ছেলে মেয়েরা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তারা তার খোঁজ খবর নিতে পারছেন না। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তার। মাঝেমধ্যে চাল-ডাল যা পারেন, দেন। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ালে তিনি শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_20250607_125358

মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন শরীফ বলেন, ‘আমেনা বেগম খুবই অসহায়। বৃদ্ধ মহিলা তিনি একাই থাকেন। ঝুপড়িতে বৃষ্টি-বাদল আর শীতের দিনে খুব কষ্ট হয় তার। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই একটা ঘর হলে তিনি ভালোভাবে থাকতে পারবেন। সরকারি চাল ও আর বিধবা ভাতা পান এছাড়া আশপাশের মানুষ কিছু দিলে সেটা দিয়ে তিনি খেয়ে বেঁচে থাকেন।’

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর