আম্বিয়া খাতুনের জীবন-জীবিকা চলছে ভাসমান নৌকায়। নিজের সঙ্গী বলতে পাঁচ বছর বয়সী এক নাতি ছাড়া আর কেউ নেই। মেঘনায় জাল ফেলে কয়েকটা ইলিশ ধরে বিক্রি করে চাল-ডাল এনে চলছে দু’জনের সংসার। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ১০ বছর হয়েছে। এখন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন বিধবা কার্ড। তবে এখনও পাচ্ছেন না কোনো সরকারি সহযোগিতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলার কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা আম্বিয়াদের ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে বসবাস শুরু হয় মেঘনার মতিরহাট ঘাটে। তখন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নৌকাতে ঘর-বাড়ি মতোই বসবাস করতেন তিনি। পরে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এখন নাতিকে নিয়ে থাকছেন নৌকায়।
বিজ্ঞাপন
মতিরহাট ঘাটে বসবাসেরও প্রায় ২০ বছর হয়ে গেছে। তাই এখানকার স্থানীয় হিসেবে করেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র। তবে তার নেই বিজিএফ, বিধবা ও জেলে কার্ড। নিজের পরিশ্রমে চলছে তার মানবেতর জীবন। ঝড়-তুফান আর মেঘনার ঢেউ যেন বয়ে গেছে তাদের জীবনে। শুধু আম্বিয়া খাতুন না, এভাবে ভাসমান ২০ পরিবার বসবাস করছে এখানে। তাদের অধিকাংশই সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আম্বিয়া খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকে মতিরহাট ঘাটে নৌকাতে বসবাস করে আসছি। বিধবা ভাতা, জেলে কার্ড ও বিজিএফ কার্ডের জন্য গেলে বলতো জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। এ বছর জাতীয় পরিচয়পত্র করেছি। এবার যদি আমার ভাগ্যে একটি বিধবা কার্ড জুটে, তাহলে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়েফ উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দিন তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিধবা কার্ড দেওয়ার সুযোগ হয়নি। এখন তিনি এনআইডি কার্ড করেছেন। তাই বিধবা কার্ড চালু হলে তাকে সবার আগে কার্ড করে দেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ