সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গায়েবি মামলায় প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক সেই তারা মিয়াসহ হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার (১৭ জুন) মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধন থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনের (জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, মধ্যনগর) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতন, জামালগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসেম, ওই মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টের বিচার দাবি করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আইনজীবী সমিতির সামনের সড়কে দুপুরে এই মানববন্ধন হয়। এতে তারা মিয়াসহ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। প্রতিবন্ধী তারা মিয়ার বাড়ি উপজেলার ভান্ডা গ্রামে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দুইদিন আগে পুলিশ বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করে। এতে নাশকতার পরিকল্পনা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। এটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ ও গায়েবি মামলা। এতে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তারা মিয়াসহ ৬০ থেকে ৭০ জন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই জেল খেটেছেন। হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারা মিয়া বাধ্য হয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। বিষয়টি তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, এই মামলার হুকুমদাতা দিছেন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন। থানার পুলিশ অতি উৎসাহে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমনপীড়নের জন্যই এই মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাদের কারণে তারা মিয়াসহ নিরীহ মানুষজন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে বক্তব্য- দেন জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আরাফাত উল্লাহ, বিএনপি নেতা আইনজীবী মো. শাহিনুর রহমান, বিএনপির স্থানীয় নেতা সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম, আব্দুল আখের, আবুল কালাম, আফজাল হোসেন, আজিজুর রহমান, হোসাইন আহমেদ, প্রতিবন্ধী তারা মিয়া প্রমুখ।
প্রতিবন্ধী তারা মিয়া বলেন, আমি ভিক্ষা করি। আমার তিনটা মেয়ে, অনেক কষ্টে সংসার চালাই। আমাকে মামলা দিয়ে যে হয়রানি করা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।
প্রতিনিধি/এসএস