সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫, ০১:২২ এএম

শেয়ার করুন:

মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা আনজুম পাশের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১৪ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের ছড়ার ধারে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে ছড়ার পাশের ঝোপে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আনজুমের স্কুলব্যাগ, বই এবং একটি জুতা উদ্ধার করে। পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গঠন করা হয় ৬টি বিশেষ দল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবেশী জুনেল মিয়ার মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখার রেকর্ড রয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশের সামনে হত্যার দায় স্বীকার করে জুনেল।

জবানবন্দিতে জুনেল জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে আনজুমকে লক্ষ করছিল এবং মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল।
 
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন সকাল ৭টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম। এর দুই দিন পর ১৪ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির এলাকার একটি নালায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

প্রতিনিধি/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর