রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথ পেরিয়ে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতু উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৬টি জেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের সংযোজক সেতুটি উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। এবার ঈদের ছুটিতে ঈদযাত্রার আগে ও পরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু পূর্ব মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে এ মহাসড়কে ব্যাপক ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় উত্তরবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের। ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুতে গত ৬ দিনে সেতুর ওপর দিয়ে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ১৫২টি যানবাহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবার ঈদযাত্রায় যমুনা সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ছিল। তারমধ্যে সেতুর ওপরে কয়েকদিনে কমপক্ষে ট্রাক-পিকআপসহ ১৮টি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। এতে করে দফায় দফায় সেতুর উভয় অংশে টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। যার কারণে ঢাকাগামী টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও উত্তরবঙ্গগামী সিরাজগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও জানান, গত রোববার থেকে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। মহাসড়কে যানজট নিরসনে গত রোজার ঈদের ন্যায় এবার কোরবানির ঈদেও যমুনা সেতুর দু’পাশ দিয়ে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ স্থাপন করা হয় এবং তারমধ্যে সেতু পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে ২টি করে মোটরসাইলের জন্য পৃথক ৪টি বুথ বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেতুর ওপর বেশকিছু বিকল হওয়ায় দফায় দফায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৬টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ হাজার যানবাহন যমুনা সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যার ফলে এ মহাসড়কের যমুনা সেতু পর্যন্ত অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তি হয়ে থাকে।
প্রতিনিধি/এফএ

