মৌলভীবাজার জেলায় পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণের ফলে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে ৭ উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ আছেন পানিবন্দি। এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
এমন অবস্থায় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সদর উপজেলায় খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের আংশিক অংশ প্লাবিত হয়েছে। কুলাউড়ার সদরসহ ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, জেলার জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এ উপজেলাধীন ২৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সকল গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।
বড়লেখা পৌর এলাকাসহ ১০ ইউনিয়ন, রাজনগরের ৪ ইউনিয়ন, শ্রীমঙ্গলের ৫ ইউনিয়ন এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙে উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুলাউড়া আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি জানান, বন্যার পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় কুলাউড়া উপজেলার ইসলামগঞ্জ এবং জুড়ীর নার্সারি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা হবে।
টিবি