যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় ভোরবেলায় দেখা গেল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। স্বামীর লাশ ঝুলছে বাড়ির উঠানের গাছে, আর মাঠে পড়ে আছে তার স্ত্রীর নিথর দেহ।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে বাড়ির উঠানে আমড়া গাছের সঙ্গে মনিরুজ্জামানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে স্ত্রী রেহেনার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে মনিরুজ্জামান তাকে গলা টিপে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় একজন বলেন, তাদের সংসারে অভাব ছিল, সমস্যা ছিল। কিন্তু ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত খুবই বেদনাদায়ক। তারা দু’জনই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে মনে হচ্ছে। খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। স্বামীর মরদেহ গাছে ঝুলছিল এবং স্ত্রীর মরদেহ পড়ে ছিল মাঠে। প্রাথমিকভাবে আমরা পারিবারিক কলহ ও আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে দেখছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বিজ্ঞাপন
মরদেহ দু’টি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস

