ঈদুল আজহার আনন্দ শেষ। এবার জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফেরার পালা। সেই যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।
ফলে চট্টগ্রাম মহানগরের বটতলী নতুন রেলস্টেশন ও কদমতলী বাস স্টেশনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় বেড়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বটতলী রেলস্টেশনে আসা যাত্রী মহসিন কাদের বলেন, “আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। শুক্রবার পর্যন্ত অফিস ছুটি রয়েছে। তবে ওই সময় ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় হবে, বাড়বে ভোগান্তি। তাই পরিবারসহ আগেভাগে ফিরে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন শহরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে বেড়াবো। এরপর জীবিকার টানে আবারও ডুবে যাব সেই ব্যস্ত জীবনে।”
প্রায় একই কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের কদমতলী বাস স্টেশনে কুমিল্লা থেকে ফেরা যাত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “সরকারি ছুটি শেষ হবে শনিবার। চাইলে শেষ দিনেও ফিরতে পারতাম। কিন্তু ঘরে ভালো লাগছিল না। তাছাড়া ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগেভাগেই চলে এসেছি। পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে ঘুরে সময় কাটাবো।”
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার জাফর আলম বলেন, “ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। ফলে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।” একই ধরনের তথ্য জানিয়েছেন নগরীর কদমতলী বাস স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থাপকরাও।
বিজ্ঞাপন
শুধু দূরের কর্মজীবীরা নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও নগরে ফিরছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফিরতি পথে গাড়ি ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অনেক যাত্রী।
তবে গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিনগুলোতে গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম ছিল। রাস্তাও ছিল বেশ ফাঁকা। তাই কম যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।
এদিকে, কর্মজীবী মানুষের ফেরার কারণে নগরীতেও যানজট ও জনজট বাড়ছে। আগামী শনিবার থেকে খুলবে নগরীর সব মার্কেট। এতে ঈদের আগের সেই চিরচেনা চট্টগ্রাম মহানগরীর চেহারা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. হুমায়ুন কবির।
প্রতিনিধি/একেবি