ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটে সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাধীন এলাকায় সরেজমিন জরিপ ও অনুসন্ধানে নতুন আরও ১৬৩টি প্রত্নস্থান (সাইট) শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে বাগেরহাট যাদুঘরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সদর উপজেলার প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম ২০২১-২২ এর অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় খানজাহানিয়া গণ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাক্ষ শেখ সাইফ উদ্দিন, ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, ষাট গম্বুজ মসজিদের ইমাম হেলাল উদ্দিন, মোয়াজ্জিন টি এম মুজিবুর রহমান, উন্নয়নকর্মী আলমগীর হোসেন মিরুসহ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খান জাহান (রহ.) এর মাজার, খান জাহান নির্মিত প্রাচীন সড়ক, চুনখোলা মসজিদ, সিঙ্গাইর, রণবিজয়পুর (দরিয়া খাঁ), নয়গম্বুজ, দশগম্বুজ মসজিদসহ ১৭টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে।
১৫শ’ শতকে খান জাহান আলী নির্মিত এমন আরও অসংখ্য স্থাপনা ও নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাগেরহাটে। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করে।
দীর্ঘ বছর পর প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক সরেজমিন জরিপ ও অনুসন্ধানে ১৬৩টি নতুন প্রত্নডিবি, দিঘি, পাথরখন্ড, প্রাচীন কবর ও জমিদার বাড়ির সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ যায়েদ ।
বিজ্ঞাপন
সদর উপজেলার মোট ১৮৪টি গ্রামে এই জরিপ কাজ করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। উপজেলার সবচেয়ে বেশি প্রত্ন সাইটের সন্ধান মিলেছে ষাটগম্বুজ ইউনিয়নে, ৭৩টি। এর পর কাড়াপাড়া ইউনিয়নে ৩৮টি, পৌরসভা এলাকায় ১৫টি।
কাস্টডিয়ান মোহাম্মদ যায়েদ বলেন, নতুন করে শনাক্ত হওয়া সাইট মিলিয়ে বাগেরহাট সদরে মোট ১৮০টি প্রত্ন সাইট শনাক্ত হলো। এর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও নিদর্শনগুলোকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও আরও এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন রয়েছে। সেগুলো সন্ধানেও জরিপ করা হবে। অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিরা শনাক্ত হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
প্রতিনিধি/এএ

