ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও নতুন করে চারজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ। গত তিন দিনে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
তবে তারা করোনাভাইরাসের কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, আক্রান্ত চারজনের তিনজন চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা এবং একজন মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তারা সবাই মোটামুটি ভালো আছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ইতোমধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ রোধে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও কিছুটা কিটের ঘাটতি রয়েছে, তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী শনিবারের মধ্যেই কিট পাওয়া যাবে। এছাড়া আমাদের কাছে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা মজুদ রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘এপিক হেলথ কেয়ার’-এ নমুনা পরীক্ষা শেষে বুধবার (১১ জুন) হালিশহর এলাকার এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ জুন) চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৩০ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৯ জুন) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তাদের একজন ৭৫ বছর বয়সী পুরুষ ও অপরজন ৫৫ বছর বয়সী নারী। তবে তারা কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর, ৯ জুন সোমবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। করোনা স্ক্রিনিং চালু করা হয়েছে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, আন্তর্জাতিক আগমন ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম ‘নন-টাচ’ পদ্ধতিতে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে।
বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে মাস্ক পরার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও গ্লাভস মজুদ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর একটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের ‘এনবি ১.৮.১’ নামের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণের দিক থেকে তুলনামূলক বেশি সক্ষম এবং দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২৩ মে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রতিনিধি/একেবি