খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি কলেজের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) কলেজের কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর চেয়ারম্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীন। সভা পরিচালনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও পর্ষদের সদস্য সচিব হাবিবুল্লাহ বাহার।
বিজ্ঞাপন
সভায় কলেজের সার্বিক কার্যক্রম ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৬ বছরে কলেজে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পরিবর্তে দুর্নীতি, বেপরোয়া লুটপাট এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিকভাবে কলেজ এখন শূন্যের কোঠায়। মেয়েদের কমনরুম, ল্যাবরেটরি, হোস্টেল, শ্রেণিকক্ষ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ অধিকাংশ অবকাঠামো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে কলেজের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করে দক্ষিণ খুলনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। আর্থিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে 'কপিলমুনি কলেজ কল্যাণ ফান্ড' গঠন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য এক কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এস মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজকে এই ফান্ডের সমন্বয়ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও গঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগকে মাস্টার্স পর্যন্ত উন্নীত করা হবে এবং সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. আব্দুল মজিদ, মোঃ তহিদুজ্জামান মুকুল, শেখ দ্বীন মাহমুদ, সাবরিনা আজমী স্বর্ণা, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক মোঃ শফিউল আযম, শারমিন সুলতানা, আকরাম হোসেন জোয়াদ্দার, শিরিন সুলতানা, আব্দুল কুদ্দুস, সাংবাদিক পারভেজ মোহাম্মাদ, জি এম আমিনুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এইচ এম শফিউল ইসলাম এস্কেন্দার মির্জা, ছাত্রনেতা দেবেন ঘোষ, আবু হুরাইরা বাদশা, অ্যাডভোকেট আব্দুল হক এসকেন্দার, আবুল কাশেম হাজরা, যুবদল নেতা আবুল হোসেন ও ছাত্রদল সভাপতি জাহিদ হাসান।
বিজ্ঞাপন
সভায় কপিলমুনি কলেজ উন্নয়নকল্পে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে 'কপিলমুনি কলেজ উন্নয়ন কমিটি' গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং কথিত অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপি নুরুল হকের নামে কলেজ মাঠের নামকরণ বাতিল করে ‘কপিলমুনি কলেজ মাঠ’ নামে পুনঃনামকরণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
প্রতিনিধি/একেবি