বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ঢাকা

কক্সবাজার সৈকতে ভয়ংকর গুপ্তখাল, তিন দিনে ৬ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

coxbazar
ভয়ংকর হয়ে উঠছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: ঢাকা মেইল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভয়ংক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিন দিনে তিন পর্যটকসহ ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সৈকতের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় লাল নিশানা টানানো হয়েছে। তবে অনেক পর্যটক তা অমান্য করেই সাগরে নামছেন। ফলে ঈদের ছুটিতে পর্যটকে উপচেপড়া সৈকতে ঝুঁকি বাড়ছে।  

সবশেষ সোমবার (৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে সৈকতের কলাতলী সায়মন বিচ পয়েন্ট এলাকায় গোসলে নেমে শাহীনুর রহমান (৬০) এবং তার ছেলে সিফাত (২০) নিহত হন। তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছিলেন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে চট্টগ্রামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। গত শনিবার সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ধরতে গিয়ে এক পর্যটক ও স্থানীয় এক বাসিন্দা ভেসে যান। পরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন লাইফগার্ডের কর্মীরা।

আরও পড়ুন

কক্সবাজারে ঈদ উপলক্ষে ৬ লাখ পর্যটক আসবে, নিরাপত্তা জোরদার

এদিকে সোমবার দুপুরে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রামুর হিমছড়ি কাকড়া বিচে একটি রিসোর্টের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও লাইফগার্ডের কর্মীরা জানান, গত তিন দিনে কক্সবাজার সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে তিন পর্যটকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


Cox
ঝুঁকি নিয়েই পর্যটকরা নামছেন সমুদ্রে। ছবি: ঢাকা মেইল

সৈকতে পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থা ‘সি সেফ লাইফগার্ড স্টেশন’ এর লাইফগার্ড মোহাম্মদ শুক্কুর জানান, কয়েক দিন ধরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক গর্তের (গুপ্তখাল) সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রের পানিতে উল্টো স্রোতের টানও বেশি দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় গুপ্তখাল সৃষ্টি হওয়াটা বেশ ঝুঁকির। সৈকতে গোসলে নামতে নিষেধ করে লাইফগার্ড আওতাভুক্ত এলাকায় একাধিক নিশানা টাঙানো হয়েছে। কিন্তু লাইফগার্ডের আওতার বাইরে আজ দুপুরে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন

কক্সবাজার পৌর এলাকা থেকে প্রতিদিন সাগরে পড়ছে ৩৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য

লাইফগার্ডের কর্মীরা আরও জানান, আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে বাবা-ছেলে দুজন হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে সৈকতে গোসলে নামেন। সেখানে লাল নিশানা টাঙানো ছিল। কিছুক্ষণ পর ঢেউয়ের ধাক্কায় বাবা-ছেলে ভেসে যেতে থাকেন। এ সময় সাঁতার কেটেও তারা তীরের দিকে ফিরতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা স্রোতের টানে গুপ্তখালে আটকা পড়েন। ওই সময় লাইফগার্ডের কর্মীরা দ্রুতগতির জলযান ‘জেটস্কি’ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। সেখান থেকে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি ঢাকা মেইলকে বলেন, সৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। গুপ্তখালে আটকা পড়ে তারা নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় নিশানাও টাঙানো হয়েছে। 

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর