গাইবান্ধা সদর উপজেলায় কামারজানীর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে বিভিন্ন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৮ জুন) বিকেলে কামারজানী বন্দরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইকবাল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বক্তব্য দেন - বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কামারজানী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা ক্বারি মো. রেজাউল করিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কামারজানী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. মাজু আহম্মেদ, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. জাভেদ হোসেন বকুল, সংবাদকর্মী সাদ্দাম হোসেন পবন, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আসাদ মাহমুদ দীপুসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, যেখানে সরকারি চাকরিজীবী, ইউনিয়ন যুব জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি, সাবেক শিবির নেতাকে আসামি করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিল, তাদের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার করা মামলায় নাম দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা হতাশ হয়েছি। মামলার বাদী কাকে খুশি করার জন্য এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন, তা আমরা বুঝতে পারছি না। তাই দ্রুততর সময়ের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী নেতার করা মামলা থেকে এই চারজনের নাম প্রত্যাহার করাসহ, মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার কারণে ইউনিয়নের বিশিষ্ট নাগরিকদের নামে দু’টি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এক মামলায় বালুদস্যু নিজেই বাদী হয়েছেন। এছাড়া অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা আরেকটি মামলা করেছেন।
প্রতিনিধি/ এমইউ