শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ঢাকা

আমেনা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফজলে রাব্বিসহ আটক ২

উপজেলা প্রতিনিধি, হাতিয়া
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ১২:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

নিঝুম দ্বীপে আমেনা বেগম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ জন আটক 

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে আমেনা বেগম হত্যাকান্ডে জড়িত ফজলে রাব্বিসহ ২জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার সময় নিঝুম দ্বীপ উপর বাজারের পাশে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা ফজলে রাব্বি(২৬) নামের একজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। আটককৃতের স্বীকারোক্তিতে আলাউদ্দিন(২৬) নামের আরেকজন আটক হয় ভোলার ইলিশা ঘাট সংলগ্নে। 


বিজ্ঞাপন


হত্যার শিকার আমেনা বেগমের দেবর আলাউদ্দিন জানান, তার বড়ভাই এমরান মাঝির স্ত্রী হত্যার পর এলাকার লোকজন চারদিকে নজর রাখে যে, কেউ কোথাও পালিয়ে যায় কিনা। এরইমধ্যে গতকাল ফজলে রাব্বি তাদের হাঁস মোরগ বিক্রি করতে লোকজন দেখেছে এবং সে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিকে ঘাটে এনে রেখেছে। বিষয়টি সন্দেহের নজরে রেখে গতরাত ৯টার দিকে উপর বাজারের পাশে রাব্বিকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাকে জিজ্ঞেস করারপর সহজে সে ঘটনার বিস্তারিত বলে দেয়। এবং তার তথ্য অনুযায়ী নিঝুম দ্বীপ ০১নং ওয়ার্ডের মাদু ডাকাতের ছেলে আলাউদ্দিন(২৬)কে ভোলা জেলার ইলিশা ঘাট সংলগ্ন থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখানকার পুলিশ আটক করেছে বলে জানান তিনি। 

জানা যায়, আটককৃত ফজলে রাব্বি ভোলার দক্ষিণ আইচা নামক এলাকার আব্দুল মন্নানের ছেলে। সে বিগত সরকার পতনের পরে নিঝুম দ্বীপে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের পর ৩নং ওয়ার্ডস্থ একটি সেন্টারে আশ্রয় নেন। হত্যাকান্ডে জড়িত ফজলে রাব্বি এবং আলাউদ্দিন পরস্পর আত্মীয়। নদীতে মাছ ধরা তাদের পেশা। তারা সেন্টারে আশ্রয় থেকে মাদককারবার এবং সেবনের সাথেও জড়িত।

 আটককৃত ফজলে রাব্বির তথ্যের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার দিন হত্যাকারীরা ঐ সেন্টারের পাশে আমেনার ঘরে চুরি করতে ঢুকে।  আমেনা তাদের দেখে চিৎকার দিলে- তার মুখ-হাত-পা চেপে ধরে হত্যাকারীরা। এসময় তাদের তিনজনের মধ্যে কোনো একজনে বলে ফেলে মহিলাটি বেঁচে থাকলে সকালে তাদের পরিণতি খারাপ হবে। তাই তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয় এবং একজনে গলা কেটে জবাই করে দেয়। পরে আমেনার নাক,কান এবং গলায় থাকা স্বর্ণালঙকার নিয় তার মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। হত্যার সাথে জড়িত আরেকজনকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান। 

রোববার (৮ জুন) সকাল ১০টার সময় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আটককৃত ফজলে রাব্বিকে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। 


বিজ্ঞাপন


এবিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, হত্যাকারী সন্দেহে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে আনার জন্য যায়। থানায় আনারপর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, নিঝুম দ্বীপ ৩নং ওয়ার্ড শতফুল গ্রামের এমরান মাঝির স্ত্রী আমেনা বেগম গত ২৮ মে রাতে লোমহর্ষক এ হত্যা কান্ডের শিকার হন। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে কবরস্থ করা হয়। তিনি ৬ সন্তানের জননী ছিলেন। 

এ ঘটনায় তখন হাতিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। 

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর