ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে কোরবানি ঈদের পশু জবাই করাসহ পশুর মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
আহতদের বেশির ভাগেরই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
আহতরা হলেন জহিরুল হক (৫০), মো. মিলন (২৩), সেলিম (২০), জসিম (২৮), হাসু (২৮), মো. ইমরান (২৫), পাবেল মিয়া (২৭), শাকিব (২৮), আজিজুল (২১), জাহার মোল্লা (৫২), মাইনুল (২৫), সুমন (২৬), মোরম আলী (৩৫), আনিস মিয়া (৪২), শিপন (২০), সেলিম (৪৫), জীবন (৪০), আরস (২৬), আরিফ (৩৪) প্রমুখ। তারা সবাই জেলা শহরসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন জেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য কোরবানির পশু জবাই হয়েছে। এসব পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটতে গিয়ে মৌসুমি কিছু কসাই ও পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের কারো হাতে, পায়ে ধারালো ছুরির আঘাতে আহত হন।
বিজ্ঞাপন
আহত প্রত্যেককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া ঢাকা মেইলকে জানান, পায়ের নিচে মাংস রেখে কাটার সময় তার পায়ে কোপ পড়ে যায়। এতে পায়ে ধারালো ছুরির আঘাত লাগে। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের আহত সেলিম মিয়া জানান, সকালে কোরবানি দেওয়ার পর গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতাবশত হাতে ছুরি লেগে অনেকাংশ কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে হাসপাতালে এসে ব্যান্ডিজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।
সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকার আরস মিয়া জানান, তিনি পেশায় রিকশাচালক। কোরবানির মাংস কাটার সময় তার হাতে ছুরি লেগে কেটে যায়। হাতে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ্র রায় ঢাকা মেইলকে জানান, সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবাইকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/জেবি