সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নড়াইলে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

মো. হাবিবুর রহমান, নড়াইল
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নড়াইলে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ পশু জবাই ও মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইলের কামাররা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের কর্মব্যস্ততা। নতুন সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি পুরোনো দা-বটি শান দিতেও ব্যস্ত তারা। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন তাদের কাজের চাপ অনেক বেশি। এই ব্যস্ততা ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন কামাররা।

যদিও আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে কামারশিল্প এখন আগের মতো জমজমাট নয়, তারপরও কোরবানির ঈদকে ঘিরে তারা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন। তবে লোহা, কয়লাসহ কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের মতো থাকছে না বলে জানান তারা। একসময় নড়াইলের কামারপাড়াগুলো ছিল বেশ সরব। সকাল হলেই শোনা যেত কামারশালার টুং-টাং শব্দ। এখন সেই চিত্র অনেকটাই ম্লান। কারণ বর্তমানে আধুনিক ওয়ার্কশপে তৈরি রেডিমেড দা, বটি, কাস্তে ইত্যাদি পণ্যের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে কামারদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে—নড়াইল জেলা শহরের রূপগঞ্জ বাজার, লোহাগড়ার জামরুলতলা, মাইকপট্টি, এড়েন্দা বাজার, কলাগাছি বাজার, মিঠাপুর বাজার, লাহুড়িয়া বাজার এবং কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কামাররা গনগনে আগুনে লোহা গরম করে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরি করছেন। কেউ কয়লার আগুনে হাওয়া দিচ্ছেন, কেউবা লোহা পিটিয়ে তৈরি করছেন দা-বটি। এ সময় দোকানের সামনে অপেক্ষায় আছেন ক্রেতারা—কেউ দা, কেউ ছুরি, আবার কেউ চাপাতি কিনছেন।

সরঞ্জামগুলোর দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে আকার ও প্রকারভেদ অনুযায়ী। বড় ছুরি ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায়, ছোট ছুরি ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ওজন অনুযায়ী—প্রতি কেজি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে।

লোহাগড়ার মিঠাপুর বাজারের কামার হৃদয় কামার বলেন, ‘কোরবানির ঈদের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে। এখন পুরোদমে কাজ করছি। লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেশি, তাই চাপাতির দামও তুলনামূলকভাবে বেশি পড়ছে। নতুন চাপাতি কেজি হিসেবে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করছি।’

আরেক কামার সাগর বকসী বলেন, ‘সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদের সময় অনেক চাপ থাকে। পুরোনো ছুরিতে শান দিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা নিচ্ছি। ছোট চাপাতিতে নিচ্ছি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, আর বড় চাপাতিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।’


বিজ্ঞাপন


Narail

ক্রেতা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কোরবানির গরুর মাংস কাটার জন্য নতুন চাপাতি তৈরি করতে দিয়েছিলাম। বাজারে তেমন ভালো চাপাতি পাইনি, তাই এক কেজি ওজনের ইস্পাত দিয়ে নতুন চাপাতি বানাচ্ছি। তবে এ বছর চাপাতির দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর