পাটুরিয়া-আরিচা নৌপথ হয়ে ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন। নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি এবং সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য লঞ্চ থাকায় মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ফেরিঘাট পার হতে পারছেন। তবে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ফেরিঘাটের কিছু পন্টুন ডুবে যাওয়ায় ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড করতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
বুধবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ২টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডুবে যাওয়া পন্টুন তুলে আনতে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। তবে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। তবুও নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় গত কয়েকটি ঈদে যাত্রী ও যানবাহন কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে ফেরিঘাট পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছেছেন। এবারের ঈদেও একইভাবে যাত্রা নির্বিঘ্ন থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদ এবং নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য পাটুরিয়ায় ১৮টি লঞ্চ এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই তারা নদী পার হতে পারবেন। তবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু পন্টুন পানিতে ডুবে যাচ্ছে। পন্টুন স্বাভাবিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি যৌথভাবে কাজ করছে। আমরা আশা করছি, এবারের ঈদে যাত্রীরা স্বস্তিতে এবং নিরাপদে নৌপথে পারাপার হতে পারবেন।’
প্রতিনিধি/একেবি

