বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সিলেটের পানিবন্দি মানুষ উদ্ধারে নামছে নৌবাহিনী

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২, ১২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সিলেটের পানিবন্দি মানুষ উদ্ধারে নামছে নৌবাহিনী

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠেছে। বেড়েই চলছে নদীর পানি। সেই সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পুরো জেলাজুড়ে চলছে হাহাকার। বন্যা আক্রান্ত বেশিরভাগ উপজেলায় পা রাখার মতো শুকনো মাটি নেই। পানিবন্দি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী।

শনিবার (১৮ জুন) থেকে উদ্ধার কাজে নৌবাহিনীও যুক্ত হয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আজ সকাল থেকে নৌবাহিনীও কাজ শুরু করেছে।


বিজ্ঞাপন


সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত রাতের মধ্যেই নৌবাহিনীর সদস্যরা সিলেটে এসে পৌঁছেছেন। আজ সকালে তারা প্রথমে সালুটিকরে অবস্থান নেবেন। পরে সেখান থেকে তারা উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করবেন।

বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উদ্ধার কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে উদ্ধার কাজসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। জেলা প্রশাসকের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৮টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৯ টিম কাজ শুরু করেছে। ‘রেসকিউ বোট’ দিয়ে তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।

সিলেট সেনানিবাসের অধিনায়ক মেজর জেনারেল হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিলেটের ৩ উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলায় সেনাবাহিনী পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারসহ পাঁচটি কাজে তৎপরতা শুরু করেছে। সিলেটের উপজেলাগুলো হচ্ছে সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলার সদর, দিরাই, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ।


বিজ্ঞাপন


মেজর জেনারেল হামিদুল হক আরও জানান, সিলেট কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি ওঠে বিদ্যুৎ সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম হুমকিতে রয়েছে। এগুলো রক্ষায়ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন। জিওসি জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঁচটি কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। বন্যা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমিত পরিসরে খাদ্য সামগ্রী ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা।

মেজর জেনারেল হামিদুল হক আরও জানান, সেনাবাহিনী নিজস্ব নৌকা দিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে। ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আরও ‘রেসকিউ বোট’ আনা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের নৌকাগুলোও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের কাজ করতে পারাকে সেনাবাহিনী গৌরবের মনে করে বলেও মন্তব্য করেন এই সেনা কর্মকর্তা।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর