ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উত্তরের পাঁচটি জেলায় ‘বিশেষ সিক্রেট স্টাইলে’ অভিযান শুরু করছে র্যাব। হাট-বাজারসহ কোথাও চাঁদাবাজি চোখে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হবে। সেজন্য এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক জনবল মাঠে নামিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (১ জুন) বেলা ১১টায় রাজশাহীর সিটি হাটে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমাদের র্যাব-৫ এর দায়িত্বপূর্ণ ৫টি জেলা অর্থাৎ রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ- এই ৫টি জেলাতেই আমরা আমাদের র্যাবের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। বিশেষ করে হাইওয়েতে যাতে ডাকাতি না হতে পারে, এজন্য আমরা চেকপয়েন্ট ও বিশেষ টহলের ব্যবস্থা রেখেছি এবং এটা ২৪ ঘণ্টা চলবে। বিশেষ করে গভীর রাতে আমরা সংখ্যা বৃদ্ধি করছি। এছাড়া এই অঞ্চলগুলোর যে রেলস্টেশন, বাসস্টেশন ও শপিং সেন্টার, এই এলাকাগুলোতেও আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, ঈদুল আজহা আমরা বলে থাকি কোরবানির ঈদ। এই অঞ্চলে অনেক বড় বড় কোরবানির হাট হয়ে থাকে। যেমন এই হাট (রাজশাহী সিটি হাট)। এই হাটগুলোতেও আমরা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের অতিরিক্ত জনবল ডেপ্লয় আছে। আমরা এখানে কন্ট্রোল সেল ইসটাবলিশ করেছি। এই অঞ্চলে গরম বেশি, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আমরা আশা করছি, মানুষ নিরাপদে হাটে বেচাকেনা করতে পারবে।
র্যাব-৫ অধিনায়ক আরও বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে কোনো চাঁদাবাজি না হয়। এরকম কাউকে পেলে গ্রেফতার করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এছাড়া আমরা জাল টাকা শনাক্ত মেশিন ইসটাবলিশ করেছি, যদি কেউ টেস্ট করতে চায়, আমাদের কন্ট্রোল সেলে এসে টেস্ট করতে পারবেন, আমাদের কাছে মেশিন আছে। আমরা সর্বোচ্চ জনবল ডেপ্লোয় করেছি। গত পরশু হঠাৎ করে টহল বৃদ্ধি করেছি। আমরা বিভিন্ন সময় প্যাটার্নও চেঞ্জ করছি, একই রকম না রেখে যেমন রাতের কোনো এক সময় ফুল স্টেন্থ আমরা ডেপ্লয় করছি। সার্বক্ষণিকও আছে, বিশেষ বিশেষ মোমেন্টে আমরা সংখ্যা বৃদ্ধি করছি প্যাটার্ন চেঞ্জ করে করে এভাবে কাজ করছি।
বিজ্ঞাপন
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে র্যাবের হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে বিশেষ মিটিং করেছি, চাঁদাবাজি যারা করবে, তাদের পাওয়া মাত্রই গ্রেফতার করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আমাদেরকে খবর দেবেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে গ্রেফতার করব। এছাড়া চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে বছরব্যাপী চলমান অভিযান অব্যাহত আছে, সেটাও থাকবে। আর চিহ্নিত চাঁদাবাজ যারা, তাদের অবশ্যই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আপনাদের এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে, চাঁদাবাজির ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় নেই। ‘বিশেষ সিক্রেট স্টাইলে ভিন্নপন্থা’ অবলম্বন করব।
প্রতিনিধি/এসএস