সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পিরোজপুরে দুই স্কুলের মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ৬

জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

পিরোজপুরে দুই স্কুলের মধ্যে সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ৬

পিরোজপুরের নাজিরপুরে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিক্ষকসহ ছয়জন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।

সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বখতিয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন।

আহতদের মধ্যে ছয়জনই বরইবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

জানা গেছে, বরইবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দুর্বল এবং শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে পার্শ্ববর্তী স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কটূক্তি করলে বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী এর প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়, এতে ছয়জন ছাত্রী ও একজন শিক্ষক আহত হন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের নিজের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহতরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় মালাকার বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দুর্বলতা ও শিক্ষক সংকট নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কটূক্তি করলে আমাদের কয়েকজন ছাত্রী প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে এবং এতে ছয়জন ছাত্রী ও এক শিক্ষক আহত হন।”

অপরদিকে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায় বলেন, “আমার বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী স্কুলে আসার পথে বালিকা বিদ্যালয়ের ৭-৮ জন ছাত্রী পূর্বের কথার কাটাকাটির জের ধরে তাকে মারধর করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি। পরে, বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চলে যাওয়ার সময় আমাদের এক ছাত্র স্কুলের তৃতীয় তলা থেকে বেঞ্চের পায়া ভেঙে ছুড়ে মারলে এক শিক্ষক আহত হন এবং আবারও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।”

বরইবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি তানভীর আহম্মেদ সুমন বলেন, “ঘটনাস্থলে আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুষ্ঠু সমাধানের আহ্বান জানাই।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বলেন, “সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর