সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ায় বদরগঞ্জে দোয়ার আয়োজন

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

Jamaat

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ঢাকায় রায় ঘোষণার পর আজহারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে শুকরিয়া আদায়ে দোয়ার আয়োজন করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস দেন।


বিজ্ঞাপন


d980765a80dd9b6245b2f2d142c99edd-6819bddc91b07

শোকরানা দোয়ার আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, রায়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এই বিষয়ে আমাদের মিষ্টি বিতরণের কিছু নেই। তবে মনের মধ্যে আনন্দ আছে। এজন্য আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। সেইসাথে বদরগঞ্জ উপজেলার ১২ নম্বর রেল গুমটি সংলগ্ন জামায়াতে ইসলামের পার্টি অফিসে বাদ আছর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

এদিকে পূর্বঘোষিত তারিখ হওয়ায় সকাল থেকেই টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমের সামনে বসেছিল এটিএম আজহারুল ইসলামের কর্মী সমর্থক ও বদরগঞ্জবাসী। এরপরেই রায় ঘোষণার পরপরেই  এটিএম আজহারুল ইসলামের জন্মভিটা বদরগঞ্জবাসীর উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


বদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মেনহাজুল ইসলাম বলেন, একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার এতদিন জেলে বন্দি করে রেখেছিল। সত্যকে কখনও দাবায় কেউ রাখতে পারেনি। আজকের রায় সেটাই প্রমাণ করেছে। দেশবাসীর মতো আমরা বদরগঞ্জবাসীও আজকের এই রায়ে ভীষণ খুশি।

Untitled-design-677f5437b1294

এটিএম আজহারুল ইসলামের বড় ভাই এটিএম আব্দুল আউয়াল বলেন, দীর্ঘদিন পর আমার ছোট ভাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আমরা তাকে আমাদের কোলে ফিরে পাব, নিজ জন্ম ভিটায় ফিরে পাব। এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।

প্রসঙ্গত: এটিএম আজহারুল ইসলাম রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের বাতাসন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি। গ্রেফতারের আগে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারেও তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর