রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা প্রশমিত করার জন্য অনেকগুলো উদ্যোগ ইতোমধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। এসব বাস্তবায়িত হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মচারীগণের চাকরি জীবনের সকল তথ্য-উপাত্ত অনলাইনের মাধ্যমে জানা যাবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রমকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ভূমি মেলা উদযাপন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম ও ভূমি আইন সম্পর্কে পারদর্শী করতে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের সমগ্র ভূমি অফিসসমূহকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্বে ১০৪৩টি আধুনিক ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ২য় পর্বে আরও ১৩৩৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসসমূহে একটি করে স্মার্ট ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং লেজার প্রিন্টার প্রদানসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মাণপূর্বক ভূমি ব্যবস্থাপনা যুগোপযোগী করা হবে। সকল উপজেলা ভূমি অফিস এবং রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসসমূহকে পাঁচটি করে স্মার্ট ডেস্কটপ কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা যুগোপযোগী করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ বিভিন্ন ভূমিসেবা বিষয়ক দিক তুলে ধরেন অতিথিবৃন্দ। বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি সেবাসমূহকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রেস কনফারেন্সে স্থানীয় সরকারের পরিচালক আবু জাফর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল উপস্থিত ছিলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগসমূহ জনসাধারণকে অবহিত করতে এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উৎসাহিত করতে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় এবং ৫৮টি উপজেলায় একযোগে ভূমি মেলা উদযাপন করা হচ্ছে। যেকোনো ভূমিসেবা সম্পর্কে জানতে বা অভিযোগ জানাতে হট লাইন (১৬১২২ নম্বরে) কল করতে পারছেন সেবাগ্রহীতারা।
প্রতিনিধি/এফএ

