‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি’

‘আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শারীরিক ও মানসিক একসঙ্গে দেখতে চেয়েছে। আমরা ঘড়ি ব্যবহার করি সময় দেখার জন্য। সময় যেমন সামনের দিকে এগিয়ে যায়, তেমনি সময়ের গতির সঙ্গে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে। তাহলে কেউ পিছেয়ে থাকবে না।’

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভায় ‘যুব কর্ণার-২’ এর শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। 

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘সরকার তরুণ সমাজের ক্ষমতায়ন ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নেওয়া নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মসূচি। আমরা চাই, মিরসরাইয়ের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুবসমাজ, দক্ষ হয়ে আত্মনির্ভরশীল হোক এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক।’

অনুষ্ঠানে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবুল বাশার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম। এসময় যুব উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাছলিমা আক্তার প্রমি।

এদিকে দুপুরে মিরসরাই সদরে নির্মিত ট্র্যাফিক পুলিশ বক্স, মিরসরাই যাত্রী ছাউনি এবং মিরসরাই সদরে আব্দুল লতিফ সড়কে একটি ব্রিজের উদ্বোধন করেন। বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সমাজসেবা অফিসের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ১০টি হুইল চেয়ার বিতরণ, মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রশিক্ষিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৬টি সেলাই মেশিন বিতরণ এবং ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ‘মিরসরাই সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড- সবাই আপনাদের সেবক। আপনাদের কল্যাণে কাজ করাই আমাদের দায়িত্ব। ভূমি অফিসে কেউ যাতে হয়রানি না হয়। সেবা নিতে এসে কেউ হয়রানির শিকার হলে আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন। আসন্ন কুরবানির ঈদে সরকারি ভাবে চামড়া ব্যবসায়ীদের ও মাদরাসায় লবণ সরবরাহ করা হবে। আপনারা কেউ চামড়া নষ্ট করবেন না। উপযুক্ত দাম দিয়ে চামড়া কেনা হবে এই বছর।’