জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী সরকারিভাবে প্রতি বছর পালিত হয়, তবে কবির পত্নী প্রমীলা দেবীর জন্মস্থান এবং তাদের স্মৃতিবিজড়িত তেওতা জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের জমিদাররা শিক্ষানুরাগী ও সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন ছিলেন। কবি নজরুল ইসলামকে তারা একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানে অতিথি হিসেবে বরণ করে নেয়। কবি প্রমীলা দেবী এখানে জন্মগ্রহণ করেন এবং শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন। প্রমীলার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি কুমিল্লায় চাচার বাসায় চলে যান।
বিজ্ঞাপন
তেওতায় কবি নজরুল ইসলাম বেশ কয়েকটি কবিতা ও গান রচনা করেছেন এবং জমিদার বাড়ির পুকুরে সাঁতার কেটেছেন। কিন্তু জমিদার বাড়িটি বর্তমানে অবহেলিত এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, নজরুল ও প্রমীলার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে এখানে একটি লাইব্রেরি বা যাদুঘর নির্মাণ করা প্রয়োজন। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান হলেও স্মৃতিসংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগের অভাব রয়েছে।
তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগে স্থানীয়ভাবে চাঁদা সংগ্রহ করে নজরুলের জন্মদিন পালন করা হতো। কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে এই দিনটি সরকারি ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। তবে পাঠাগার স্থাপন বা স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, কবি নজরুল এখানে দোল খেলেছেন, পুকুর পাড়ে বসে গান রচনা করেছেন। কিন্তু এখন সেই সব স্মৃতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা এই ঐতিহ্য রক্ষা না করি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে জানবে নজরুল-প্রমীলার কথা?’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

