লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে গতরাতে পুশ ইন করেছে ভারত। পুশইনের শিকার শিশুসহ ২০ জনকে আটকের পর প্রথমে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প পরে পাটগ্রাম থানায় রাখা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে সাত শিশু ও ১১ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
তবে ভারতে বসবাসকারী এসব বাংলাদেশিদের মধ্যে বহু বাংলাদেশিকে গতকাল রাতে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়েছে বলে স্থানীয় ও পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত এলাকার ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা পাটগ্রাম থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে পুশইন হয়ে দেশে ঢোকার পর তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে হেঁটে পাটগ্রামের দিকে যেতে শুরু করেন। তবে স্থানীয় নতুন বাজারে পৌঁছলে বাজারের লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটকে পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেন। আটকৃতদের বরাতে স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই সীমান্ত দিয়ে শুধু ২০জন নয় গতরাতে দুই দফায় অন্তত ৫০ জন বা তারও অধিক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। যাদের অনেকেই পুলিশ ও বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে।
আটককৃতদের মধ্যে আদরী, সীমা ও শাহানা জানান, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৪ হাজার অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আটক করে সেদেশের পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৮৬জন বাংলাদেশিকে
আহমাদাবাদ বিমান বন্দর থেকে গতকাল বুধবার বিকালে একটি বিমানে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমান বন্দরে আনা হয়। এরপর তাদের কে ১৫ থেকে ২০ জন করে কয়েকটি গাড়িতে তুলে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে বিজিবি'র পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

