সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাজবাড়ীর ২০ মণের শাহীওয়াল ষাঁড় ‘রাজা’ কোরবানির হাটে, দাম ৮ লাখ টাকা

কাজী তানভীর মাহমুদ, রাজবাড়ী 
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

Bull
রাজবাড়ীর ২০ মণের শাহীওয়াল ষাঁড় ‘রাজা’ কোরবানির হাটে। ছবি: ঢাকা মেইল

রাজবাড়ীর ঈদুল আজহার কোরবানির হাটে এবার সবার নজর কাড়তে প্রস্তুত এক বিশালাকৃতির শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়। গরুটির নাম ‘রাজবাড়ীর রাজা’। ওজন প্রায় ৮০০ কেজি বা ২০ মণ, উচ্চতা ৬ ফুট, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৭ ফুট, আর বুকের মাপ সাড়ে ৬ ফুট। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের খামারি শুভাষ শিকদার গত চার বছর ধরে সন্তানের মতো আদর-যত্নে লালন-পালন করেছেন এই বিশাল ষাঁড়টিকে। শুভাষ শিকদারের ভাষায়, ‘গরুটি আমি নিজের সন্তানের মতো করে দেখাশোনা করেছি। তার প্রতিদিনের খাওয়া, গোসল, বিশ্রাম—সবকিছু নিয়ম মেনে করেছি।’


বিজ্ঞাপন


গরুটির খাদ্যতালিকায় রয়েছে শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি, যব ও এসব দিয়ে তৈরি ভূসি। পাশাপাশি প্রতিদিন কাঁচা ঘাস কেটে এনে খাওয়ানো হয়। দিনে দুইবার গোসল করানো হয় এবং সবসময় ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা রাখা হয় যাতে রাজা আরামে থাকে।

শুভাষ শিকদার বলেন, ‘আমরা গ্রামে থাকি, শহরের হাটে গিয়ে এত বড় গরু বিক্রি করা সহজ নয়। যদি ভালো কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়, তাহলে দরদাম করে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দিতে চাই। দাম বলছি ৮ লাখ টাকা।’

আরও পড়ুন—

শুভাষ শিকদারের ছেলে প্রশান্ত শিকদার জানান, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে গরুটি লালন-পালন করছেন। আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করেছি। অনেক সময় ও টাকা ব্যয় হয়েছে এই গরুটির পেছনে।’

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। এর মধ্যে গরু ২৪ হাজার ২৬০টি, মহিষ ২৩২টি এবং ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য মিলিয়ে রয়েছে ২৩ হাজার ৪৭১টি। চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি পশুর, ফলে অতিরিক্ত থাকবে প্রায় ৬ হাজার ৩৬২টি পশু।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রশান্ত শিকদারের খামারে থাকা শাহীওয়াল জাতের গরুটি প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। বয়স প্রায় ৪ বছর। গরুটির ওজন প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মণ হতে পারে। এটি সুস্থ ও মানসম্মত কোরবানির উপযোগী পশু।’

rajbari-3

আসন্ন ঈদে রাজবাড়ীর হাটে দেখা যাবে কিনা এই ‘রাজা’কে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে খামারেই যদি ভালো দাম মেলে, তাহলে সেখান থেকেই বিক্রি হয়ে যেতে পারে রাজবাড়ীর এই গর্ব।

প্রতিনিধি/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর