সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনাসহ ৬২ জনের নামে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

Hasina
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সজল মিয়া (২০) নামের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। সেই ঘটনার ৯ মাস পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জন আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) রাতে শহীদ সজলের মা রুনা বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু করান। 


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১৯ মে) সকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

বাদী রুনা বেগম আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হাসান আলীর স্ত্রী। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

এছাড়া এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুও এই মামলার আসামি।

আসামিদের মধ্যে অন্যরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিরাজ মণ্ডল, নুরুউদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, আড়াইহাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা, আড়াইহাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সুন্দর আলী, আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।


বিজ্ঞাপন


মামলার এজাহারে বাদী লিখেছেন, গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ছেলেও অংশগ্রহণ করে। গত ২০ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। ওই সময় বাদীর ছেলে সজল মিয়ার পেটে গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেখানে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পরে দেশের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ময়নাতদন্ত না করে তার ছেলের মরদেহ দ্রুত গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন তিনি। তার ছেলে মৌচাক এলাকায় তার বাবার সঙ্গে জুতার কারখানায় কাজ করতো বলেও জানান রুনা বেগম।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীদের প্ররোচনায় এবং শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানদের উপস্থিতিতে ও তাদের নির্দেশে অপরাপর আসামিরা ছাত্র-জনতাকে মারধরসহ গুলি করে হত্যা করে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর