রাজশাহীর দুর্গাপুরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে এক বৃদ্ধকে আটক করে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে তার মুখে চুনকালি লাগিয়ে ও গলায় জুতা ঝুলিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের সায়বাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম আব্দুস সাত্তার (৭০)। তিনি সায়বাড় এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিশুটির দাদি বলেন, সোমবার সকালে আমার নাতনি বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়েছিল। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার আমার নাতনিকে পেছন থেকে জাপটে ধরে নির্জন বাঁশঝড়ের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আমার নাতনি অনেক কান্নাকাটি ও চিৎকার করে। একপর্যায়ে বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার আমার নাতনিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাঁশঝাড় থেকে নাতনিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর আব্দুস সাত্তার পালিয়ে বিলের মধ্যে একটি পুকুর পাড়ের ঘরে লুকিয়ে ছিলেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে বিল থেকে ধরে গ্রামে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় নারীরা ওই বৃদ্ধের মুখে চুনকালি ও জুতার মালা পরিয়ে দেন। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুস সাত্তারকে হেফাজতে নেয়।
বিজ্ঞাপন
![]()
আব্দুল বারী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বৃদ্ধ হলেও এখনও আব্দুস সাত্তারের খাসলত যায়নি। তার কারণে এলাকার নারীরা বিব্রত। নারী দেখলেই কুদৃষ্টি দেন তিনি। গত বছর একই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নারীঘটিত একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আমরা এলাকাবাসী তাকে আইনের আওতায় শাস্তির দাবি করছি।
তবে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি খারাপ কিছু করেননি বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি আমাকে দাদা ‘সম্বোধন’ করে ডেকেছিল। তাই আমি শিশুটির কাছে গেছিলাম। সে আমার নাতনির বয়সের। তার ডাক শুনে আমি শুধু হেসেছিলাম। তাই আমাকে থাপ্পড় মারা হয়। পরে আমি চলে যাই।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হুদা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্ত এক বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

