গাজীপুরের টঙ্গীতে নিজ কক্ষ থেকে বাক প্রতিবন্ধী এক নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর একটার দিকে টঙ্গীর গাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মৃত ওই বাক প্রতিবন্ধীর নাম রাবেয়া সাবরিন আক্তার লিখন(২৮)। তিনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার উত্তর পটখালী গ্রামের সেলিম হাুলাদারের মেয়ে। লিখন টঙ্গীর গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার স্থানীয় গোলাম মোস্তফার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফাকে (৪৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, লিখন একজন বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি টঙ্গীর নতুন বাজার এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (মৈত্রী শিল্প) চাকরি করতেন। প্রায় এক বছর আগে গোলাম মোস্তফার ওই ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন লিখন। সঙ্গে ও তার মা রাজিয়া বেগম থাকতেন। সোমবার সকালে লিখন বাসায় একাই ছিলেন। সকাল নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। পরে ওই কক্ষের দরজা খুলে বিছানার ওপর ওড়না ও গামছা দিয়ে লিখনের হাত-পা ও মুখ বাঁধা নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লিখনের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (মৈত্রী শিল্প) ম্যানেজার মহসিন আলী বলেন, লিখন মৈত্রী শিল্পে একজন কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তিনি তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, তার হাত-পা ও মুখ বাধা ছিল। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আশপাশের ভবনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

