নেত্রকোনা খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি ও জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ১২ মে আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে নেত্রকোনার মডেল থানা পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ মে) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রুহী জেলা খেলাফত আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা খাইরুল বাশার, নায়েবে আমির, মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মোস্তফা আহমাদ জীহাদী, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মাহবুব, বৃক্ষ প্রেমিক আব্দুল হামিদ, যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুফতি মুসা শেখ, সহসভাপতি হাফেজ কারী আরিফ বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মোতালিব ও সেক্রেটারি বীন ইয়ামিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খেলাফত শ্রমিক আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ সাজিয়ে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি দীর্ঘ বছর ধরে খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। দ্রুত তাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ মে নেত্রকোনা শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে মামলা করা হয়। সদর উপজেলার আমলি কেশবপুর গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে তাঁতীদল নেতা মো. সুমন মিয়া (৩৯) মামলাটির বাদী হয়েছেন। মামলায় নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার ২৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৮০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই আসামিদের মধ্যে খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ৯৩ নম্বর আসামি করা হয়। এরপর ১২ মে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের কুড়পার এলাকা থেকে পুলিশ আনোয়ারকে গ্রেফতার করে।
খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব সম্পাদক গাজী মোহাম্মাদ আবদুর রহিম বলেন, খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের জেলা শাখা সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে একজন তার বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার মামলা করেছেন। আনোয়ার হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ওই মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাকে যদি দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হব।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, সুমন মিয়া নামের ইউনিয়ন তাঁতী দলের এক নেতা বাদী হয়ে থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার ৯৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিনিধি/এসএস

