চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ইয়াসিন হোসেন সোহান (২৫) নামে যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ইয়াসিন হোসেন সোহান ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ছেলে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৮ মে) সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার কর। দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মৃত যুবকের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা গোফরান মিয়া বলেন, ইয়াসিন হোসেন সোহান তাদের ৪ ভাই-বোনের মধ্য বড়। তার বাবা অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক মাস আগে তার মায়ের শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হয়। চিকিৎসার খরচ মেটাতে আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকে তারা।
শনিবার বিকেলে সে নিজেদের বিল্ডিংয়ের রুমের দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ দরজা না খোলাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ডাকাডাকি করতে থাকে। এক পর্যায়ে দরজা না খোলাতে তারা দরজার লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ইয়াসিন হোসেন সোহানের মরদেহ ঝুলে আছে দেখতে পান। পরিবার থেকেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সে ইয়াসিন হোসেন সোহান নামে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লেখেন- ‘আমার মা-বাবা হয়ত আমাকে কোনোদিনও ক্ষমা করবে না। কীভাবে ক্ষমা করবে বলেন! আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে। আমার জায়গায় যদি একটা মেয়ে জন্মাইত তাইলেই হয়ত তাদের এই দুর্দিন দেখতে হইত না।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-সে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে। ময়না তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

