গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রওশন সড়ক বালুর মাঠ এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে এফ. এ. ওমর ফারুক নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে ফারুককে হত্যা করে কক্ষে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত এফ. এ. ওমর ফারুক রংপুর জেলার মহেষা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি রওশন সড়ক বালুর মাঠ এলাকায় স্থানীয় কামরুল ইসলামের বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পাশের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি ভবনের ম্যানেজারকে জানান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় স্বজনদের খবর দিলে নিহতের বড় ভাই এফ. এ. ইকবাল মরদেহটি শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, ফারুক এক লাখ নব্বই হাজার টাকা নিয়ে কাপড়ের ব্যবসার প্রস্তুতির জন্য চলতি বছরের মে মাসে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। সেখানে আরও একজন নারী, একজন পুরুষ ও দুটি শিশু থাকলেও মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা দাবি করেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
নিহতের বড় ভাই সৈয়দ মুহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘ফারুক আমার সঙ্গেই থাকত। পরে কাপড়ের ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে আলাদা ফ্ল্যাটে উঠে। গতকাল সন্ধ্যায় থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি ফ্ল্যাট থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে গিয়ে আমি আমার ছোট ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করছি।’
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফারুক প্রায় ৪-৫ দিন আগে মারা গেছেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু ও আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি
