সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘সকল সংস্কার উল্লেখ আছে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে’

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৫, ১২:৫৯ এএম

শেয়ার করুন:

‘সকল সংস্কার উল্লেখ আছে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (গত ৯ মে) জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এতে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।


বিজ্ঞাপন


বিকেল ৩টার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হন জেলার নয়টি উপজেলা থেকে আসা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ব্যানার-ফেস্টুন, বাদ্য-বাজনা ও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি হাতে আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

তিনি বলেন, ‘আজকের আনন্দ মিছিল শুধু উৎসবে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। সেই পরীক্ষায় আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার একেক সময় একেক ধরনের সংস্কারের কথা বলছে। শাহবাগে বসে আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে। অথচ তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে সব ধরনের সংস্কার স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। যদি তারা সত্যিই সংস্কার করতে চায়, তাহলে তা হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই প্রকৃত সংস্কার করবে।’


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সংসদ হচ্ছে আইন প্রণয়নের স্থান। শাহবাগের সংস্কার বাদ দিয়ে আগারগাঁওয়ের সংসদকেই ব্যবহার করুন।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে সাধারণ মানুষ বিএনপি থেকে দূরে সরে যায়।’

আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি নির্বাচনই ভোটারবিহীন। জনগণ সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর ফলেই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তাদের পাশে ছিল না। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের জন্য শিক্ষা। যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তাদের পরিণতিও এমনই হবে।’

আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও এবিএম মমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কবীর আহমদ ভূইয়াসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর