সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাস্তায় মার্কেট নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ছাত্রদল নেতাসহ দুজনকে মারধর

উপজেলা প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা) 
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১০:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

রাস্তায় মার্কেট নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ছাত্রদল নেতাসহ দুজনকে মারধর

সাভারের আশুলিয়ায় রাস্তার জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ছাত্রদল নেতাসহ দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় দখলদাররা। আহতরা বর্তমানে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


আহতরা হলেন আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান বিপ্লব এবং রিকশাচালক আবুল হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন খেজুরটেক এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন ওরফে শান্ত (৪৫) এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস (৫০)।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, খেজুরটেক বাজারের রাস্তার পাশে কিছুদিন আগে থেকে দোকান নির্মাণ শুরু করেন আবুল হোসেন শান্ত ও আব্দুল কুদ্দুস। এলাকাবাসী শুরু থেকেই এই নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবুও অভিযুক্তরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। এর ফলে রাস্তা সরু হয়ে গিয়ে নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে যানজটের সময় রিকশাচালক আবুল হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা বিপ্লব যানজট নিরসনে এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত শান্ত ও কুদ্দুসসহ কয়েকজন তাদের ওপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ রিকশাচালক। প্রতিদিন গার্মেন্টসের সময় যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় এবং রাস্তার এই অংশে যানজট লেগে থাকে। আজও জ্যাম লাগলে আমি যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করছিলাম। তখন রাস্তার পাশে মার্কেট নির্মাণ করছিলেন শান্ত ও কুদ্দুস। হঠাৎ তারা এসে আমাকে হাতুড়ি ও কাঠ দিয়ে মারধর করে। পরে বিপ্লব ভাই আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করে তারা।’


বিজ্ঞাপন


ছাত্রদল নেতা মামুনুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘শান্ত ও কুদ্দুস রাস্তার জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছেন। আমরা আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছি। এতে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। আজ সকালে রিকশাচালক আবুল হোসেন জ্যাম নিরসনে কাজ করছিলেন, তখন তারা এসে তার ওপর হামলা চালায়। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও মারধর করে।’

অভিযুক্ত আবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘এটি আমাদের নিজস্ব জায়গা, তাই দোকান নির্মাণ করছি। প্রশাসন চাইলে ভেঙে ফেলব।’ তবে রাস্তার জায়গা কিভাবে তার নিজস্ব সম্পত্তি—এমন প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান। মারধরের ব্যাপারে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর