নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিশা নামের ৪ মাসের একটা কন্যা শিশু চুরির একসপ্তাহ পর উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় মাহমুদা ও তার স্বামী অটোরিকশা চালক আসাদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে শিশুটি উদ্ধার ও দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানায়, নগত ৭ ফতুল্লা বিসিক শিল্প এলাকায় গাইবান্ধা টেইলার্সের সামনে থেকে সকাল ১০টায় অটোচালক মনোয়ারুল ও তাহসিনা আক্তারের ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা তিশাকে তাদের আরেক মেয়ে মরিয়ম (১০) মা তাহসিনা আক্তারের কাছে গার্মেন্টসে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার আসামি মাহমুদা (২৮) কৌশলে শিশু কন্যা তিশাকে কোলে নিয়ে তার বড় বোন মরিয়মকে কিছু টাকা দেয় চকলেট খাওয়ার জন্য। মরিয়ম চকলেট কিনতে গেলে মাহমুদা শিশু কন্যা তিশাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর চার মাসের বাচ্চা তিশাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে তার বাবা মা ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করলে ফতুল্লা থানার এসআই ইয়াসিন আরাফাতকে শিশুটিকে উদ্ধারে দায়িত্ব দেয়া হয়।
তথ্য প্রযুক্তি ও র্যাবের সহায়তায় ১৪ মে পূর্ব মাসদাইর এলাকা থেকে মাহমুদা ও তার স্বামী অটোরিকশা চালক আসাদুলকে গ্রেফতার করে এবং শিশুটি উদ্ধার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা শিশু তিশাকে চুরির বিষয় স্বীকার করে। কারণ হিসাবে বলেন দীর্ঘ ১২ বছরের সংসারে নি:সন্তান হওয়ার কারণে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে থাকে। গত ৭ মাস আগে মাহমুদা কন্সিভ করলেও পাচ মাস পর তা মিসক্যারিয়েজ হয়ে যায়। মিসক্যারিয়েজ এর বিষটি মাহমুদা তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সবাইকে বিষটি লুকিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
শিশু বাচ্চাকে চুরি করে পরবর্তী তার বাচ্চা বলে আত্মীয়-স্বজনের কাছে প্রচার করে নিজের বাচ্চা হিসাবে। নিজের সংসার বাচানোর জন্য বাচ্চা চুরি করার কথা স্বীকার করে মাহমুদা বলেন, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সন্তান না হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে। এজন্য বাচ্চা চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করে। এঘটনায় বাচ্চা চুরির ঘটনায় সহযোগী সন্দেহে আরও দুই জনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে, গত ১৩ মে ফতুল্লা থানায় এঘটনায় মামলা দায়ের করে চুরি হওয়া শিশুর বাবা।
প্রতিনিধি/ এজে

