সিলেট নগরে নির্মলেন্দু দাশ রানা নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতাকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরে তাকে চিকিৎসা শেষে বুধবার (১৪ মে) একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গণপিটুনির শিকার নির্মলেন্দু হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের ৭ নম্বর করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্মলেন্দু দাশের সন্তানরা পড়ালেখার সূত্রে সিলেটে থাকেন। এ কারণে তিনি সিলেট ও নবীগঞ্জে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। গত মঙ্গলবার নবীগঞ্জ থেকে আসা তার দুই বন্ধু গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন জীবন ও আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তাক আহমদ মিলু ফোন দিয়ে দেখা করতে চান।
পরে তারা তিনজন নগরের লামাবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে চা খেতে বসেন। এ সময় তার এলাকা নবীগঞ্জের কয়েকজন ও সিলেটের কয়েকজন নির্মলেন্দু দাশকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে বের করে এনে মদন মোহন কলেজের সামনে এনে গণধোলাই দেন। পরে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় খবর দেওয়া হলে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার পুলিশ তাকে নগরের ফাজিলচিস্ত এলাকার বাসিন্দা মো. জলিলের করা ১৭ অক্টোবরের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিনিধি/ এমইউ

