রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় নার্সিং কলেজ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিজিএনএম-এর দুটি নোটিশকে কেন্দ্র করে অনলাইনে নানা সমালোচনা চলছিল। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ কয়েকটি বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। এসব দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদা ব্যানারে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সভায় অংশ নেন ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের কয়েকজন, যাঁরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। বাকবিতণ্ডা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজ ভবনের বাইরে গেটের সামনে অবস্থান নেন, আর বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন। এরপর ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
বিজ্ঞাপন
একের পর এক উত্তেজনার মধ্যে এক পর্যায়ে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, তার মোবাইল ফোন নেওয়ার চেষ্টা করেন এক ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, গেট ও জানালার কাচ ভাঙচুর, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
নারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা শুধু মারধরেরই শিকার হননি, বরং হেনস্তাও করা হয়েছে।

আরএমপির বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রতিনিধি/একেবি

