রংপুরের গংগাচড়ায় গৃহবধূ সালেহা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, একজনের ১ বছর ও তিনজনের ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার সংক্ষিপ্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৯ মার্চ দুপুরে গংগাচড়া মডেল থানার মৌভাষা বামনটারী চর এলাকায় বাদীর বসত বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে থাকা টয়লেটে কাজ শেষ করে বাদীর ছেলে সাজু মিয়া বের হয়ে আসলে আসামিরা সাজুকে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে বাদীর স্ত্রী ছালেহা বেগম ও ছেলে এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদেরকে মারপিট করে এবং আসামি বুলবুল ধারালো দা দিয়ে ছালেহা বেগমের মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনরা ছালেহা বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছালেহার মৃত্যু হয়। পরে নিহত ছালেহা বেগমের স্বামী মঞ্জুম আলী বাদী হয়ে গংগাচড়া থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন বলেন, ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক মৃত মোজাম্মেল ওরফে মোজাম শেখের ছেলে বুলবলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এছাড়াও মৃত মোজাম্মেল ওরফে মোজাম শেখের ছেলে নুরুল আমিনকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড, নুর আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম, মৃত মোজাম্মেল ওরফে মোজা শেখের ছেলে নুর আলম ও লাল মিয়াকে ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অন্যদিকে তিন জনকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিক দাবি করেছেন ন্যায় বিচার থেকে আসামিরা বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
প্রতিনিধি/ এজে

