নড়াইল জেলা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন নড়াইল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি।

এতে বক্তব্য দেন, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি বিদুৎ সান্নাল, সাধারণ সম্পাদক, এস.এম. সাজ্জাদ। 
বক্তারা বলেন, আবদুল গফফার সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। তার সঙ্গে খাদ্য সরবরাহকারীদের গোপন আঁতাতের ফলে রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সরকারি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বিকল দেখিয়ে তিনি নিচতলায় এনজিও পরিচালিত আরএইচ স্টেপে নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করে যাচ্ছেন। তার কক্ষে আসা রোগীদেরও সেখানে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তাঁরা আরও বলেন, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী চুরির মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে হাসপাতালের দালাল চক্র নির্মূল, মানসম্মত খাবার সরবরাহ ও জরুরি সেবাসমূহ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার দাবি জানান বক্তারা। এ ছাড়া দ্রুত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালুর দাবিও ওঠে মানববন্ধন থেকে।

এ বিষয়ে নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গফফার বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার একার নয়, এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। রোগীর পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারও আপত্তি থাকলে তারা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলুন।’

উল্লেখ্য, গত ৮ মে, নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল গফফার এক অফিস আদেশ (স্মারক নম্বর ২০২৫/৬১৬) জারি করে নড়াইল জেলা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল মালিক সমিতিকে চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি সদর হাসপাতাল এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে অনেকটা বেকায়দায় পড়েন ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো।