শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তিন শর্তে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মুক্তি

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ০৮:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

তিন শর্তে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মুক্তি
ছবি : ঢাকা মেইল

অসুস্থ মায়ের সেবা, ১০০টি গাছ রোপণ ও দ্বিতীয়বার এ ধরনের অপরাধে না জড়ানোর শর্তে বরিশালে মাদক মামলায় ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত যুবককে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জুন) বিকালে বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামি মেহেদি হাসান বাবুকে ছয় বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তিন শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


শর্ত তিনটি হলো—দ্বিতীয়বার এ ধরনের অপরাধে জড়িত হবেন না, অসুস্থ মায়ের সেবা করবেন, ১০০টি ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করবেন। আগামী দুই বছর তার সব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবেন সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা। শর্তের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আদালতকে অবহিত জানাবেন। সেই থেকে ঘোষিত দণ্ড কার্যকর হবে।

মেহেদি হাসান বাবু নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও মেহেন্দীগঞ্জের দাদপুর এলাকার আলাউদ্দিন খানের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজু জানান, ২০২১ সালে ২৩ অক্টোবর নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাহ লেনের আফসানালয়ে বাবুর ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই সুজিত গোমস্তা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অপর আসামি হলেন নগরীর করিম কুটির এলাকার নেহার মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া আবুল খায়েরের ছেলে রুবেল হাওলাদার।

ডিবির এসআই মঞ্জুরুল হাসান দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।


বিজ্ঞাপন


আইনজীবী সাজু জানান, আদালত চার্জ গঠনের সময় রুবেলকে বাদ দিয়ে একমাত্র বাবুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন। কোনো ধরনের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়া আসামি দোষ স্বীকার করায় এই রায় দেন।

প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ ঢাকা মেইলকে বলেন, পরিবার দণ্ডিত যুবক বাবুর ওপর নির্ভরশীল। প্রথমবারের মতো এ ধরনের অপরাধে জড়িয়েছেন। লঘু দণ্ড হিসেবে তাকে পুনর্বাসনে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী দুই বছর বিচার আদালতের ভৌগোলিক এলাকা ত্যাগ করতে পারবেন না। এ সময়ের মধ্যে একই অপরাধে লিপ্ত হবেন না। ভদ্র ও ভালো ব্যবহার এবং আচার আচরণ প্রদর্শন করবেন। ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করবেন। নিয়মিত মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। অসুস্থ মায়ের নিয়মিত সেবা যত্ন করবেন। আইন মান্যকারী পরিশ্রমী ও সু-নাগরিক হিসেবে বসবাস করবে। ভবিষ্যতে কোনো মামলা হলে আদালতের দেওয়া সাজা ভোগ করতে হবে।

মেহেদী হাসান বাবু জানান, আদালতের আদেশে খুশি ও ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না। আদালতের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলবেন।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর