বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ঢাকা

ধর্ষণ মামলা উঠাতে তরুণীকে হুমকির অভিযোগ সাবেক এমপির বিরুদ্ধে 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

R
সংবাদ সম্মেলন করছেন ভুক্তভোগী নারী। ছবি- ঢাকা মেইল

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী তরুণীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি ও বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে। 

বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেলও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 


বিজ্ঞাপন


শনিবার (১০ মে) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা ভুক্তভোগী এক তরুণী। 

এসময় তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদান, অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার, আসামি গ্রেফতারসহ হুমকি প্রদানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। 

অভিযুক্ত বরিশাল-৬ আসনের সাবেক এমপি আবুল হোসেনের অবশ্য দাবি, মীমাংসার জন্য ওই তরুণীসহ পরিবারকে খবর দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। তাদের কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণী বলেন, ‘বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। একপর্যায়ে প্রতারণার শিকার হয়ে আমি গত ২২ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ থানায় রুহুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করি। কিন্তু মামলার চার মাস পার হলেও আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।’ 


বিজ্ঞাপন


‘এদিকে গত ৭ মে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান আমাকে ও আমার মাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। সেই রাতে সেখানে থানার নবাগত ওসি আবুল কালাম আজাদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেল ছিলেন। সাবেক এমপি আমার কোনো কথা না শুনেই বলেন, তুলে না নিলে সকালে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবেন।’

‘এর আগেও বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার ও ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শেখ মাহমুদুর রহমান রিমন আমার বাড়িতে গিয়ে মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দিয়েছিলেন।’ 

তাই ওই তরুণী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপি, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ বিষয়ে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, ‘হুমকি নয়। ওই মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে আমার বাসায় ডেকে এনেছিলাম। তখন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।’

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর