নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাউধপাড়া মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাউধপাড়া মোড় সংলগ্ন সিরাজ মিয়ার বাড়ির দখল নিতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত প্রায় চার দশক আগে থেকে। ১৯৮৭ সালে রোয়াইলবাড়ি গ্রামের আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে মুফতী ফাহিম বিল্লাহর বাড়িটি ভাড়া নেন সিরাজ মিয়া ও তার পরিবার। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির দখল না ছাড়ায় বাড়ির মালিক পক্ষ বিভিন্ন সময় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে। সমাধান না হওয়ায় আজ উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এতে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সিরাজ মিয়ার পরিবারের দাবি, তারা এ জায়গাটি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে বাড়ির মালিক ফাহিম বিল্লাহর ভাই ও চিরাং বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কবির হোসেন জানান, সিরাজ মিয়া ভাড়াটিয়া ছিলেন। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে বাড়ির মালিকানা দাবি করতে থাকেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে বাড়িটি দখল করে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল উপজেলা বিএনপি অফিসে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিরাজ মিয়ার পক্ষকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাড়ি খালি করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় শনিবার সকালে মুফতী ফাহিম বিল্লাহ বাড়ির দখল নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানায় ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কয়েকজন আহত হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তবে একজনের হাতের অবস্থা গুরুতর থাকায় মমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস