সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদের পুশইন (জোরপূর্বক প্রবেশ) করার একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) টহল জোরদার ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
জেলার ১০৩.২ কি.মি. সীমান্তে এখন পর্যন্ত কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটলেও যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১০ মে) ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মো. তানজিলুর রহমান বলেন, বিজিবি সদর দফতরের নিদেশনা অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি বিওপিতে (বর্ডার আউট পোস্ট) টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সন্দেহভাজন সকল চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারি চলছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে যেকোনো ধরনের পুশইন প্রতিরোধে আমরা প্রস্তুত। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।
বিজিবি'র সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকার প্রতিদিনই সাধারণ মানুষদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ এবং প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
সীমান্তের বিশাল এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় দিবা রাত্রি ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজারসহ দেশের পাঁচটি সীমান্তবর্তী জেলায় ভারত থেকে বেশকিছু সংখ্যক ভারতীয় বাংলাভাষী ও রোহিঙ্গাদের পুশইন করা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। তবে বিজিবি'র ৫৫ ব্যাটালিয়নের কঠোর নজরদারির কারণে হবিগঞ্জ সীমান্তে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে এই সতর্ক অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিনিধি/ এজে