মুন্সীগঞ্জ সদরের লঞ্চঘাটে দুই তরুণী যাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় সেই ভাইরাল যুবক নেহাল আহমেদ জিহাদকে (২৪) গ্রেফতার করেছে মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় স্বেচ্ছায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে নেহালকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নেহালের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন অভিযুক্ত ওই যুবক। নেহাল বলেন, ‘আমি মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমি নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করি।’
ঘটনা সম্পর্কে যুবকের দাবি, ‘স্থানীয় ২০০-৩০০ লোক তাদের আচরণ ও চলাফেরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। মেয়েগুলোকে রক্ষার্থে আমি শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি।’
বিজ্ঞাপন
তার আরও দাবি, ‘আমি এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলতো। আরও বেশি হেনস্তা করতো। তাছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত নয়টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘আটক যুবকের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। তারা জানিয়েছে, আজ অভিযোগ করবে।’
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) রাতে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা ঢাকা-লালমোহন রুটে চলাচলকারী এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চের কেবিনে থাকা দুই তরুণী যাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন উপস্থিত অনেকে।
পরে মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। এর কয়েক ঘণ্টা না যেতেই পদক্ষেপ নিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এএইচ