বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ঢাকা

গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়ছে লাম্পি ভাইরাস, উদ্বিগ্ন কৃষক

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়ছে লাম্পি ভাইরাস, উদ্বিগ্ন কৃষক

গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গবাদিপশুতে ছড়িয়ে পড়ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামের ভাইরাস রোগ। এতে আসন্ন ঈদে কোরবানির জন্য মজুদ রাখা গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক-খামারিরা।

তারা বলছেন, মারাত্মক এ রোগটি গরু থেকে গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়া হলেও কিছু গরু মারা গেছে। সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি কৃষক-খামারিরা জানায়, লাম্পি স্কিন রোগটি এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। মারাত্মকভাবে গরুর এ রোগ দেখা দেয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়ছেন তারা।  

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- এ জেলায় প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার ২০৩টি গরু রয়েছে। এছাড়াও ১৫ হাজার দুগ্ধজাত ও ১১ হাজার ২৭০টি মোটাতাজাকরণ গরুর খামার আছে। সেখানে কোরবানির পশুও মজুদ রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এ রোগে চার ভাগ গরুর মৃত্যু হয়ে থাকে। এর পরেও রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস বা এলএসডি রোগ দেখা দিয়েছে।

CowCow


বিজ্ঞাপন


গোবিন্দগঞ্জের নয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর, ব্যথা, খাবার গ্রহণে অরুচি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি গুটি বা ফোস্কা ওঠে। পায়ে-গলায় এবং শরীরের নিম্নাংশে ফুলে পানি জমে। একপর্যায়ে গুটি বা ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করলেও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক গরুর মৃত্যু ঘটছে।

সাহেবগঞ্জ গ্রামের একাধিক ক্ষুদ্র খামারি জানায়, আসন্ন ঈদে কোরবানির জন্য বেশ কিছু গুরু মজুদ রয়েছে। এরই মেধ্য লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়লেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ আক্রান্ত গরুর মালিকদের।

আরও পড়ুন

জমি না লিখে দেয়ায় বাবাকে পিটিয়ে জখম, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, এ রোগে গরুর মৃত্যুর হার ৪ ভাগ। রক্ত চোষা আঠালি, মাইট, মশা ও মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়ায়। তাই এ ব্যাপারে গরুর মলিক ও খামারিদের পরামর্শ ও আক্রন্ত গরুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।  এছাড়াও আক্রান্ত পশুর চিকিৎসায় প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানান এ কর্মকর্তা।

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত এপ্রিল মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ আক্রান্ত ৩৭৬টি গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এসব গরুর রোগ নির্মূলে সুচিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর